জীবনযাপন

ঠান্ডা পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আসসালামু আলাইকুম, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। প্রায় মানুষের মনে একটা প্রশ্ন থাকে যে ঠান্ডা পানি পান করার মাধ্যমে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় কি না।

কিন্তু সত্যি এটাই যে ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য যেমন ভালো তেমনি কয়েকটা খারাপ দিকও আছে। তাহলে চলুন জেনে নেই ঠান্ডা পানি বা বরফ পানি  শরীরের জন্য কতোটা উপকারি এবং কতোটা অপকারিতা।

ঠান্ডা পানির উপকারিতা

মেটাবলিজম বাড়ায়

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ঠান্ডা পানি পান করার মাধ্যমে বিপাকীয় হারে সাময়িক উন্নতি হয়। ঠান্ডা পানি আমাদের শরীরে বিপাকক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রার সাথে ঠান্ডা পানির তাপমাত্রা বাড়াতে কাজ করে এবং এই সময় আমাদের শরীরের অতিরিক্ত কিছু ক্যালোরি ঝরে পরে।

হাইড্রেশনের জন্য আদর্শ

আমাদের শরীরের সামগ্রিক কার্যকারিতার জন্য সঠিক হাইড্রেশন বজায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ন। আমরা যখন ঠান্ডা পানি পান করি তখন এই ঠান্ডা পানি পান করার মাধ্যমে শরীরের হাইড্রেশনের মাত্রা উন্নত হয়।

ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি নেই

ঠান্ডা পানি আমাদের শরীরের কমাতে সাহায্য করে। জার্নাল অফ হিউম্যান নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটিক্স অনুসারে, ঠান্ডা পানি পান করলে তা সারাদিনে কম চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণের সহায়তা করে। ঠান্ডা পানি যেমনিই হোক না কেনো সেই পানির মাঝে কোনো ক্যালোরি থাকে না।আপনি প্রতিদিন পান করার জন্য ঠান্ডা পানি বেছে নিতে পারেন, তাতে আপনার ওজন বাড়বে না।

তাপ মোকাবিলা করে

গরমের দিনে বা আপনি যখন কাজ করে অনেক ক্লান্ত বোধ করেন তখন ঠান্ডা পানি পান করতে পারেন তাতে আপনার সতেজ বোধ হবে। ঠান্ডা পানি পান করার কারণে শরীরের তাপমাত্রা এবং হৃদস্পন্দন কমাতে সাহায্য করে। এই ঠান্ডা পানিকে হাইড্রেশন হিরো করে তোলে।

ব্যথা উপশম করে

এই ঠান্ডা পানি আমাদের মাথা ব্যথা বা পেশী ব্যথার কারণে যে অস্বস্তি বোধ হয় তা কমাতে সাহায্য করে। ঠান্ডা তাপমাত্রা রক্তনালীগুলোকে সংকুচিত করতে, প্রদাহ কমাতে এবং ব্যথার অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে।

ঠান্ডা পানি পানের সম্ভাব্য অপকারিতা

হজমের সমস্যা

আপনার হজমশক্তি যদি সংবেদনশীল হয় তাহলে ঠান্ডা পানি আপনার হজমের সমস্যার কারণ হতে পারে। ঠান্ডা পানি পাকস্থলীর রক্তনালীগুলোকে সংকুচিত করে যার ফলে হজমশক্তি ধীর হয়ে যেতে পারে। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এটি বেশ অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে

ঠান্ডা পানি বা বরফ পানি আমাদের কিডনিকে অনেক সময় দুর্বল করে দিতে পারে। আমাদের সবার উচিৎ খাবারের সাথে ঠান্ডা পানি না পান করা। কারণ তৈলাক্ত খাবারকে এই ঠান্ডা পানি আরও শক্ত করে তুলে, এবং আমাদের শরীরের ভারসাম্য নষ্ট করে।

ঠান্ডার সমস্যা বাড়াতে পারে

ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা পরামর্শ দেয়, ঠান্ডা পানি পান করার কারণে শ্লেষ্মা ঘন হতে পারে। তাই আমাদের সবার উচিৎ সর্দি বা কাশির সময় ঠান্ডা পানি বা বরফ পানি পান না করা।

সহজ ভাষায়

ইসলাম ও বিশ্বতথ্য জানুন সহজ, সাবলীল বাংলায়!

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

অ্যাডব্লকার ডিটেক্ট হয়েছে!

মনে হচ্ছে আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অ্যাড ব্লকার বন্ধ করতে হবে। যদি অ্যাডব্লকার ব্যবহার না করেন, তাহলে পেজটি রিফ্রেশ করুন।