ইসলাম ধর্মচলমান প্রসঙ্গ

২০২৫ ঈদুল ফিতর কবে? বাংলাদেশে রোজার ঈদ কবে ও কত তারিখে হবে?

বাংলাদেশে রোজার ঈদ কবে ও কত তারিখে হবে?

আসসালামু আলাইকুম, আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো ২০২৫ সালের রোজার ঈদ বা ঈদুল ফিতর বাংলাদেশে কত তারিখে ও কি বারে হবে?

৩০ দিন রোজা বা সিয়াম সাধনার পরে আসে ঈদুল ফিতর যা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন। রমজান শেষে পুরো বিশ্বের মুসলমানের ঈদ পালন করেন।

২০২৫ ঈদুল ফিতর কবে?

রমজান ২৯ দিনের হলে ঈদুল ফিতর পালন করা হবে ৩০ মার্চ। আর রমজান ৩০ দিনের হলে ঈদুল ফিতর পালন করা হবে ৩১ মার্চ।

রোজার ঈদ বা ঈদুল ফিতর কবে হবে তা মূলত চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। ইসলামি ক্যালেন্ডারের প্রত্যেক মাস শুরুর তারিখ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে নির্ধারিত হয়।

এই আর্টিকেলে ক্যালেন্ডারে উল্লেখিত সরকারি ছুটির সম্ভাব্য তারিখের ভিত্তিতে ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ তুলে ধরা হয়েছে।

ঈদুল ফিতর অর্থ কি?

ঈদুল ফিতর দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত:

  • ঈদ – আরবি ভাষা থেকে উৎসৃত শব্দ যার অর্থ “উৎসব” বা “আনন্দ”।
  • ফিতর – আরবি ভাষা থেকে উৎসৃত শব্দ যার অর্থ “বিদীর্ণ করা”, “উপবাস ভঙ্গ করা”, “স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়া”।

সুতরাং, ঈদুল ফিতর অর্থ “রোজা ভাঙার আনন্দের উৎসব”

আরও পড়ুনঃ  ঈদুল আজহা ২০২৫ কত তারিখে - কোরবানির ঈদ ২০২৫

এটি মুসলমানদের দুটি প্রধান ধর্মীয় উৎসবের একটি, যা পবিত্র রমজান মাসের এক মাস রোজা পালনের পর শাওয়াল মাসের ১ তারিখে পালিত হয়।

রোজার ঈদ যেভাবে পালন করা হয়

চাঁদ দেখা

রমজান মাস শেষে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার মাধ্যমে ঈদের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

ঈদের নামাজ

ঈদের সকালে ঈদগাহে জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।

ফিতরা প্রদান:

ঈদের নামাজের পূর্বে প্রতিটি মুসলমানের উপর নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্য বা অর্থ গরিব-দুঃখীদের মধ্যে বিতরণ করা কর্তব্য।

ঈদের শুভেচ্ছা

ঈদের দিন সকলে একে অপরের সাথে আলিঙ্গন করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

নতুন পোশাক পরিধান

ঈদের দিন নতুন পোশাক পরিধান করা রীতি।

পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা সাক্ষাৎ

ঈদের দিন পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা সাক্ষাৎ, খাওয়া-দাওয়া, আনন্দ-উল্লাস করা হয়।

ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য

আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

রমজান মাসের রোজা, নামাজ, তেলাওয়াত, দান-সদকা ইত্যাদি ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য মুসলমানরা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে।

সংযম ও আত্ম-সংশোধনের প্রতীক

রমজান মাসে মুসলমানরা কাম, ক্রোধ, লোভ, মিথ্যাচার, ঈর্ষা ইত্যাদি নেতিবাচক গুণাবলী থেকে বিরত থাকে। ঈদুল ফিতর এই সংযম ও আত্ম-সংশোধনের প্রতীক।

সামাজিক সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন

ঈদের দিন সকল মুসলমান নবীন-বয়স্ক, ধনী-দরিদ্র, ভেদাভেদ ভুলে ঈদগাহে একত্রিত হয় ঈদের নামাজ আদায় করে। এতে সামাজিক সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়।

গরিব-দুঃখীদের প্রতি সহানুভূতি:

ঈদের দিন ফিতরা প্রদানের মাধ্যমে গরিব-দুঃখীদের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রদর্শন করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি ২০২৪

ঈদুল ফিতরের বার্তা

ঈদুল ফিতর আমাদেরকে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকার, ন্যায়-নীতি, সত্য ও ন্যায়বিচারের পক্ষে কাজ করার, এবং গরিব-দুঃখীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার শিক্ষা দেয়।

সহজ ভাষায়

ইসলাম ও বিশ্বতথ্য জানুন সহজ, সাবলীল বাংলায়!

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button