ইসলাম ধর্মচলমান প্রসঙ্গ

শবে কদর ২০২৫ কত তারিখে? কবে ও কি বারে?

আসসালামু আলাইকুম, আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো ২০২৫ সালের শবে কদর বা লাইলাতুল কদর কবে, কত তারিখে ও কি বারে হবে।

লাইলাতুল কদর খুবই মর্যাদাপূর্ণ একটি রাত মুসলিম উম্মাহর কাছে। স্বয়ং আল্লাহ তাআলা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন।

পবিত্র কোরআনে এই রাতের গুরুত্ব তুলে ধরে সূরা কদর নামে একটি পূর্ণ সুরা নাজিল হয়েছে। সেই সূরায় মহিমান্বিত এই রাতকে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম বলে ইরশাদ করা হয়েছে।

শবে কদর কোন রাতে পালন করা হয়?

আমাদের সমাজে প্রতিবছর পবিত্র রমজানের ২৭তম রাতকে শবে কদর পালন করা হয়, তবে এটি ভুল ধারণা। ২৭তম রাতেই যে লাইলাতুল কদর তা নিশ্চিত করে বলা যায়না।

কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমরা রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের সন্ধান কর”। – সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০১৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৬৯।

তাই একজন মুসলিমের নির্দিষ্ট কোন রাতকে লাইলাতুল কদর হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত নয়।  এতে করে ব্যক্তি নিজেকে প্রভুত কল্যাণ থেকে বঞ্চিত করার সম্ভাবনা তৈরী হয়।

হতে পারে লাইলাতুল কদর ২১তম রাতে অথবা ২৩তম রাতে অথবা ২৯তম রাতে। তাই কেউ যদি শুধু ২৭তম রাতে নামায আদায় করে এতে করে তিনি অফুরন্ত কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবেন এবং এই মুবারকময় রাতের ফজিলত হারাবেন।

সুতরাং একজন মুসলিমের উচিত গোটা রমজান জুড়ে আনুগত্য ও ‘ইবাদতের কাজে সর্বোচ্চ সাধনা চালানো। আর শেষ দশকে আরো বেশি তৎপর হওয়া। এটিই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর আদর্শ।

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে তিনি বলেন :“(রমজানের শেষ) দশ রাত্রি শুরু হলে নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোমর বেঁধে নামতেন। তিনি নিজে রাত জেগে ইবাদত করতেন এবং তাঁর পরিবারবর্গকে (ইবাদাতের জন্য) জাগিয়ে দিতেন।” [সহীহ বুখারী (২০২৪) ও সহীহ মুসলিম (১১৭৪)]

আরও পড়ুনঃ  আশুরার রোজা কয়টি ও আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে জানুন

শবে কদর ২০২৫ কত তারিখে? কবে ও কি বারে?

উপরে উল্লেখিত হাদিসগুলো থেকে আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি, শবে কদর ২০২৫ ঠিক কত তারিখে হবে তা বলা প্রায় অসম্ভব। তাই হাদিস অনুযায়ী রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদরের আমল করতে হবে।

যেমনঃ ২১তম রাত, ২৩তম রাত, ২৫তম রাত, ২৭ তম রাত ও ২৯তম রাত। এ রাতগুলোতে শবে কদর থাকার সম্ভাবণা রয়েছে।

তাই আমাদের সকলেরই উচিৎ রমজানের শেষ বেজোড় রাতগুলোতে বেশী বেশী ইবাদত করা। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুক, আমিন।

সহজ ভাষায়

ইসলাম ও বিশ্বতথ্য জানুন সহজ, সাবলীল বাংলায়!

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

অ্যাডব্লকার ডিটেক্ট হয়েছে!

মনে হচ্ছে আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অ্যাড ব্লকার বন্ধ করতে হবে। যদি অ্যাডব্লকার ব্যবহার না করেন, তাহলে পেজটি রিফ্রেশ করুন।